লালমাই প্রতিনিধি ।।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল এফসিএ (লোটাস কামাল) এমপি’র হাতে গড়া উপজেলা হচ্ছে কুমিল্লার লালমাই উপজেলা। উপজেলা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠন বেশ চাঙ্গা ভাবেই সাংগঠনিক সকল কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
সাংগঠনিক কর্মকান্ডকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে লালমাই উপজেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এর পর পরই ছাত্রলীগ কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্তও জমা নেয়া হয়। কিন্তু কমিটি হচ্ছে হবে বলে দীর্ঘ দিন যাবত ঝুলে আছে লালমাই উপজেলা ছাত্রলীগের এ কমিটি। বর্তমানে কমিটি ছাড়াই চলছে লালমাই উপজেলা ছাত্রলীগ।
ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভাতৃপ্রতিম এই সংগঠনটির লালমাই উপজেলা শাখা যেন অভিভাবহীন। কবে নাগাদ কমিটি গঠন হবে সেটিও পরিষ্কার নয়। সংগঠনকে গতিশীল করতে অবিলম্বে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারি সাবেক কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাকে দ্বিখন্ডিত করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও লালমাই নামে পৃথক দুইটি উপজেলা গঠিত হয়। এরপর থেকে লালমাই উপজেলায় পৃথক কার্যকরী কমিটি গঠন করতে কাজ শুরু করে উপেজলা সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি। পাশাপাশি মেয়াদ উত্তীর্ণ কয়েকটি ইউনিয়ন কমিটিও সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করা হয়। লালমাই উপজেলার আওয়াতাধীন ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টিতে আহবায়ক কমিটি ও ৭টিতে কার্যকরী কমিটি বহাল রয়েছে। এছাড়া ছোট শরীফপুর ডিগ্রী কলেজেও আহবায়ক কমিটি রয়েছে।
সবকয়টি কমিটিই মেয়াদ উত্তীর্ণ।গতবছরের ৭ সেপ্টেম্বর বাগমারা বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অর্থমন্ত্রীর বড় ভাই এম এ হামিদ কে সভাপতি, অর্থমন্ত্রীর পিএস কেএম সিংহ রতন কে সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক মো: আয়াত উল্যাহ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে লালমাই উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠিত হয়।
সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে চলে যাওয়ায় ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের দাবি আরো জোরালো হয়। দাবি অনুযায়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগ নেতা আকতার হোসেন পারভেজ ও কামরুল হাসান ভুট্টুকে শীর্ষ পদ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে সিভি গ্রহণের দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী সভাপতি পদে বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল হান্নান মিয়াজীসহ ৩জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১১জন সিভি জমা দেন। কিন্তু দীর্ঘ ১১ মাসেও কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় কোন অগ্রগতি হয়নি।
ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশি একাধিক কর্মী জানান, ছাত্র রাজনীতি করে আমরা বেশি কিছু চাই না। অন্তত নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী দলের পদ প্রত্যাশা করি। কিন্তু লালমাইয়ে ছাত্রলীগের পদের অপেক্ষা করতে করতে অনেক নেতার বিয়ের বয়সও শেষ হয়ে গেছে। সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্তেও কেউই সরকারি চাকরিতে যোগদানের সুযোগ পায়নি। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন রুবেল বলেন, লালমাই উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। পদ প্রত্যাশিরা সিভিও জমা দিয়েছে। কিন্তু করোনার কারনে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। যতদ্রুত সম্ভব লালমাইতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কাঠামো সবাই দেখতে পাবে।
অর্থমন্ত্রীর এপিএস ও লালমাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম সিংহ রতন বলেন, করোনা শিথিল হলে অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশক্রমে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।